স্বাস্থ্য খাত থেকে এখনো বৈষম্য দূর হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক ফার্মাসিস্ট সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী সাধারণ জনগণের আন্দোলনের ফসল। এজন্য সরকারের উচিত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো এখনো স্বাস্থ্য খাত থেকে বৈষম্য বিতাড়িত করা হচ্ছে না। আর সারা পৃথিবীতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্যের সবকিছুই টেকনিক্যাল লোকদের দিয়ে করা হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, এই জায়গাগুলোতে এখন নন-টেকনিক্যাল লোকদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনারা কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না, মনে করেন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আপনারাই ভালো বোঝেন। আসলে আপনারা স্বাস্থ্যের কিছুই বোঝেন না। স্বাস্থ্য একটি টেকনিক্যাল বিষয়, এজন্য স্বাস্থ্যের ডিজির (মহাপরিচালক) পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মন্ত্রণালয় তার ইচ্ছেমতো স্বাস্থ্য প্রশাসন চালাতে পারে না।

স্বাস্থ্য খাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন করতে হবে উল্লে­খ করে ডা. জাহিদ বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে কোয়ালিটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কোয়ালিটি ফার্মাসিস্ট তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা একটি সমন্বিত কার্যক্রম। গুণগত সেবা দিতে চাইলে নার্স, টেকনোলজিস্ট যেমন দরকার, ফার্মাসিস্টও দরকার।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নাছির আহমেদ রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মেডিকেল টোকনোলজিস্ট অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এম-ট্যাব) সভাপতি একেএম মুসা লিটন, সিনিয়র সহসভাপতি মাইনুদ্দিন মঞ্জি, সহসভাপতি রুহুল আমিন, মহাসচিব মো. বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দবির উদ্দিন তুষার, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুর রব, সাইদ সিদ্দীকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।