Logo
Logo
×

অন্যান্য

সড়ক বাতির মাধ্যমেই যানজট নিরসন সম্ভব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম

সড়ক বাতির মাধ্যমেই যানজট নিরসন সম্ভব

সুশৃঙ্খল সড়ক ব্যবস্থাপনায় আইন প্রতিপালন করে চাঁদাবাজি বন্ধ ও সড়ক বাতির মাধ্যমেই যানজট নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন পরিবহণ মালিক এবং ট্রাফিক পুলিশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘চাঁদামুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত যাত্রীবান্ধব ও সুশৃঙ্খল সড়ক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মইনুল হোসেন, সংগঠনের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ বাতেন, ইকবাল হোসেন রাজু, বাবুল আক্তার, এসএম আহমেদ খোকন ও বাংলাদেশ বাস-ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

সভায় ট্রাফিক বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মইনুল বলেন, ট্রাফিক বাতির মাধ্যমে সড়কের যানজট ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আমাদের কাজ হচ্ছে, আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি দেওয়া। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ এবং সিটি করপোরেশন কাজ করে। সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করতে পারলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।

পরিবহণ মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্ধারিত রুটের বাইরে কেউ গাড়ি চালাবেন না। লেন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। কোনো কাউন্টারের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। ফিটনেস বিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। ট্রাফিক সভ্যতা একটি জাতির প্রতীক। তাই আমাদের সব নিয়ম-কানুন মানতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মো. সাইফুল আলম বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষণা করে ছয় দফা সুপারিশ প্রণয়ন করেছে মালিক সমিতি। সুপারিশগুলো হলো- ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির নেতৃত্বে যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও যাত্রীবান্ধব পরিবহণ সেবা নিশ্চিত করা। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ সড়ক গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা। বিশেষ করে নারী যাত্রী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ও বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের সহযোগিতায় চেষ্টা অব্যাহত রাখা। মালিক-শ্রমিক-পুলিশ প্রশাসন সর্বোপরি ছাত্র-জনতাকে সম্পৃক্ত করে যাত্রী জনকল্যাণমুখী নিরাপদ সড়ক গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সব টার্মিনালে চালক-শ্রমিকদের নিয়মিত কাউন্সিলিং সভা করা। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিউনিটি ট্রাফিক নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন টার্মিনাল সম্মুখসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া।

সব ধরনের চাঁদা সম্পূর্ণরূপে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

সাইফুল আলম বলেন, সরকারি নির্ধারিত ভাড়াই ঠিক আছে। এর বেশি কেউ নিলেই তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আপাতত আমাদের সমিতির সকল সদস্যদের চাঁদা নেয়া বন্ধ রয়েছে। সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে আমরা মালিক সমিতি কাজ করব। তেলের দাম বাড়লেই যে গাড়ি ভাড়া বাড়বে বিষয়টি এরও কম না, গাড়ির টায়ার সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের উপরও নির্ভর করে।

সড়ক পরিবহণ নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল, ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, আগে যাওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা কাজ করব। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব রয়েছে, তাদের তা মানতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম