গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না- এমন সংশোধনী এনে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় হস্পতিবার সকাল ১১টায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ব্যবস্থাপনা, ট্যারিফ নির্ধারণ, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৫, ২০১০, ২০২০ এবং ২০২৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। ইতোপূর্বে আইনটি সংশোধন করে এর ৩৪ ধারার সঙ্গে নিম্নরূপে ৩৪ক ধারা সংযোজন করা হয়।’
এতে বলা হয়, ‘৩৪ক। ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস সম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ/মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অধিক সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন, জনপ্রত্যাশা এবং ভোক্তার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর উপরোক্ত ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
বিষয়-২: 'শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন।
উদ্যোক্তা: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
দেশের সম্ভাবনাময় যুবদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে যুবদের নিয়োজিতকরণের নিমিত্ত গবেষণা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এতদসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে একটি কেন্দ্রীয় ও আধুনিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকল্পে “শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮” প্রণীত হয়। প্রতিষ্ঠানটির নামের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট' করার জন্য অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান/স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হইবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উক্ত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।