‘এত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও নুরুল ইসলাম ঋণখেলাপি ছিলেন না’
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
সিরাজদিখানে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ করেন যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ছবি: যুগান্তর
যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, দেশ গড়ার কাজে নুরুল ইসলাম দূরদর্শী এবং বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি চিন্তা করেছিলেন দেশকে যদি গড়তে হয়, তাহলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তিনি সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে সিরাজদিখান-শ্রীনগর উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের অসামান্য অবদানের বিষয়টি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রাখবেন। নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আদর্শ দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে বেকার সমস্যা দূরীকরণে ৪৩টি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। দেশকে ভালোবেসে বিদেশের মাটিতে বাড়ি-গাড়ি, কলকারখানা স্থাপনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তা করেননি। এত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও তিনি কখনো ঋণখেলাপি ছিলেন না।
সালমা ইসলাম বলেন, নুরুল ইসলাম মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগে উন্নত এবং বেকারত্ব মোচনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পকারখানা স্থাপনের নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিরাজদিখান-শ্রীনগর উপজেলার গোয়ালবাড়ি মোড় ইউএনও পার্কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ও ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার-বিলাশপুর ইউনিয়নে তাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করছে- হুর, কোয়ালিটি ও ভি ওয়াটার। তিনটি উপজেলার দুই সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে আছে শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট, চাল, ডাল, আটা, ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, দুধ, চা পাতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
মাসুদ করিম পাপ্পুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক কামাল হোসেন লাল, রশুনিয়া ইউপি সদস্য জয়ন্ত ঘোষ, শেখ মো. রাসেল, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আরও বলেন, নুরুল ইসলাম মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একের পর এক শিল্পকারখানা গড়েছেন। বেকারত্ব দূর করে অর্থনীতির চাকা চাঙা করার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। শুধু তাই নয়, নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আদর্শ দেশপ্রেমিক। আজকের এই দিনে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকারের মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াসহ সব শ্রেণির নাগরিকের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।
তারা আরও জানান, নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণের এ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলমান থাকবে।