দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও কুচক্রী মহল কোটা সংস্কার আন্দোলনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে বলে মনে করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতারা। 

তাদের দাবি, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে পদ্মা সেতু, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বাংলাদেশ টেলিভিশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হানিফ ফ্লাইওভার, দুর্যোগ ভবনসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করেছে। 

শনিবার পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। 

অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করেছে। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।