নাগরিক সমাজের বিবৃতি, দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জামায়াত-বিএনপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
ছাত্রদের কোটা সংস্কারকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি।
শনিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক (নাগরিক সমাজ)।
ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা এ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে গত কয়েকদিনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগে বহু মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনায় নিহতদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
নাগরিক সমাজের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাশকতা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিটিভি, মেট্রোরেল, সেতুভবন, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। অস্ত্র লুটসহ জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে এ চক্র। জনজীবন বিপন্ন ও দুর্বিষহ করে তুলছে এবং কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে।
এই গোষ্ঠীটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ ও নাশকতা চালিয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বর্তমান এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম।
নাগরিক সমাজ বিশ্বাস করে, ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। এখন ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময়। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি দেশবাসীকে এই ধ্বংস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
সাবেক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত পাঠানো ওই বিবৃতিতে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক সই করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাসেম খান ও রফিকুন্নবী, রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন ও ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, অধ্যাপক নিসার হোসেন, ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, গায়িকা রুনা লায়লা প্রমুখ।