পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট: নানক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ এএম
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে। শিগ্গিরই এর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ সফল হলে পরিবেশের জন্য হুমকি প্লাস্টিক ও পলিথিন নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। সচিবালয়ে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, মানবজীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন বর্তমানে বাজারে পলিথিন এমনভাবে গেড়ে বসেছে, যার বিকল্প থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলেছি। নানক আরও বলেন, বিদ্যমান বিধিমালা অনুসারে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ ৮২টি পণ্য পরিবহণে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না, তা অনুসন্ধানে আমরা খুলনা, দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী ও সিলেট সফর করে দেখেছি খাদ্যপণ্য পরিবহণে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
বস্ত্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাটের পাতা দিয়ে ‘চা’ কেন উৎপাদন হবে না। প্রধানমন্ত্রী পাটের চা উৎপাদন করতে বলেছেন। আমি আপনাদের সুসংবাদ দিতে চাই, ইতোমধ্যে রোজেলা টি ও পাট পাতার চা নামের দুটি চা আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। এ রোজেলা টি পানে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলো শিগ্গিরই বাজারজাত করব, বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। এছাড়া মানুষের অন্যতম শত্র“ পলিথিন বন্ধ করে বিকল্প ব্যাগ হিসাবে সোনালি ব্যাগ আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ব্যাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে এনে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, পাটপণ্য রপ্তানি করতে হলে দেশে পাট উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। সেজন্য সব চেষ্টা করছি। পাট উৎপাদন এলাকা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি পাটপণ্যেও বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে এখন থেকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণোদনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এ উদ্যোগের ফলে পাটের উৎপাদন, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
ভারত ও ব্রাজিলের অ্যান্টি ডাম্পিং পলিসি প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা এখন অ্যান্টি ডাম্পিং দিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করব। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পর ব্রাজিল যাবেন। সেসময় তাদের সঙ্গে অ্যান্টি ডাম্পিং বিষয়ে কথা হবে। আমি আশা করি, অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে শিগ্গিরই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যেতে পারব।