Logo
Logo
×

অন্যান্য

সরকারের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালানোর ঘোষণা শিক্ষকদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন ও ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩২ পিএম

সরকারের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালানোর ঘোষণা শিক্ষকদের

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 

এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়গুলো। ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি, হয়নি দাপ্তরিক কোনো কার্যক্রমও। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিও বন্ধ ছিল। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে এক ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এই স্কিম যাত্রা করেছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এর পর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরোনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও। এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি। আমাদের তিনটি মূল দাবি রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। ২০১৬ সালে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সুপার গ্রেডে বেতন দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু এখনো পাইনি। এখন এটাকে যেহেতু সর্বজনীন পেনশন স্কিম বলা হচ্ছে, তাই সরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে তিন মাস ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, অর্ধদিবসের কর্মবিরতি পালন করেছি। সাড়ে তিন মাসেও তাদের টনক নড়েনি। এখন আমরা যখনই আন্দোলনে গেলাম, তখন বললেন এটা ঠিক, ওটা ঠিক না। আমাদের দাবি- সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। আমাদের দাবি আর তাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, সেটার একটা সমাধান হোক। 

এর আগে বিকালে গণমাধ্যমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু বিষয় স্পষ্ট করে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, আমরা তা দেখেছি। আমরা দুপুরে আন্দোলনরত অবস্থায়ই তা দেখেছি। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছি। এটি মানি না। আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি চলবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষকদেরই মূলত জিম্মি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাসহ অন্য শিক্ষকরা কলাভবনের মূল ফটকে দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

অবস্থান কর্মসূচিতে অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের জন্যই। ভবিষ্যতে তারাই শিক্ষক হবেন। এ আন্দোলন নিয়ে অনেক ধরনের অপপ্রচার চলছে। বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এ আন্দোলন করা হচ্ছে। মূলত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্যই এ আন্দোলন করছেন। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, উন্নত দেশের কথা বাদই দিলাম; এ উপমহাদেশের দিকে তাকান, ভারত, শ্রীলংকা এমনকি পাকিস্তানেও শিক্ষকদের বেতন অনেক। যাদের বিরুদ্ধে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, তাদের দেশেও শিক্ষকদের বেতন অনেক বেশি।

সমিতির সাবেক সহসভাপতি ও ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, এই পেনশন স্কিমটি শিক্ষকদের মান-সম্মানের ব্যাপার। যারা পেনশন স্কিমের পক্ষে কথা বলছে, তারা তাদের নিজস্ব অবস্থান বজায় রাখার জন্য এসব বলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররা সব সময় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এই জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। যদি সরকার এই স্কিম বাতিলে আরও কালক্ষেপণ করে, তাহলে আমাদের আন্দোলনে দেশের সাধারণ জনগণও অংশগ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও এ আন্দোলনে আমাদের কোনো মতপার্থক্য নেই। দলমতনির্বিশেষে আমরা সবাই এ আন্দোলনের সঙ্গে একমত।’

কর্মসূচিতে অধ্যাপক জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রহিম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম ওহিদুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছিরসহ আরও অনেকে। এ সময় শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দেন।

একই দাবিতে সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনের মল চত্বরে এসে জড়ো হন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারাও দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মচারীরা বলেন, সচিবরা আমাদের ওপর তাদের তৈরি করা অন্যায় নীতি চাপিয়ে দিয়েছেন। তারা আমাদের বুকের ওপর দিয়ে গাড়িতে করে অফিসে যান। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা বন্ধ করে দেব। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেব। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক আন্দোলনে সারা দেশ অচল হয়ে যাবে। 

ঢাবির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘এই আন্দোলন শেষ না করে আমরা ঘরে ফিরব না। বিক্ষোভ সমাবেশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান, কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, মনির রহমান, কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, ইমদাদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : মঙ্গলবার জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে কর্মবিরতির পাশাপাশি দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। জবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. মমিন উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসানের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : দ্বিতীয় দিন সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়। দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। 

অন্যদিকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এমনকি অনলাইনেও ক্লাস নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গ্রন্থাগার খুলে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কর্মবিরতি পালন করেছেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০ : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) চলমান কর্মবিরতিতে কর্মকর্তাদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৬ জন এবং ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৪ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাতাহাতি এবং একে-অপরকে চেয়ার দিয়ে মারধর করেন। ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিউল আলমকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। এদিকে আন্দোলন চলমান থাকায় সোমবার থেকেই ববিতে পরীক্ষা গ্রহণসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

মঙ্গলবার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শুরুর আগে সকাল ১০টায় ববির প্রশাসনিক ভবন-১-এর নিচে ব্যানার টানিয়ে বসেন সদ্য গঠিত ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এ সময় ববি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এসে তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যোগ দিতে বলেন। এর একপর্যায়ে ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। বেলা ১১টার দিকে ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিক্ষকদের ব্যানারের জায়গায় নিজেদের ব্যানার টানায়। এরপর শিক্ষকদের চেয়ারে বসে অবস্থান নেন তারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে কর্মকর্তাদের একাংশ। এ সময় দুই গ্রুপ সংঘাত-মারামারিতে জড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এসএম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি অধ্যাপক ড. তরুণ কান্তি বোস ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা বক্তব্য দেন এবং উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ১২ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম সাইফুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদার রহমান বক্তব্য দেন।

এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম