Logo
Logo
×

অন্যান্য

ডিজেল কেরোসিনের দাম কমল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ এএম

ডিজেল কেরোসিনের দাম কমল

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে পঞ্চমবারের মতো জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে জুলাই মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি এক টাকা কমেছে। অপরিবর্তিত আছে অকটেন ও পেট্রোলের দাম। সোমবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।

রোববার রাতে জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। পরিবর্তন হয়নি পেট্রোল ও অকটেনের দাম। অকটেন প্রতি লিটার ১৩১ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকাই রয়েছে। 

সর্বশেষ ৩০ মে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা ৫০ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছিল।

বর্তমানে জ্বালানি তেলের দর নির্ধারণ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। অনেকটাই একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেল ব্যবহার হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রোল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলে। ডিজেল সাধারণত কৃষি সেচে, পরিবহণ ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়। অকটেন ও পেট্রোল বিক্রিতে সব সময় বিপিসি লাভ করে। মূলত ডিজেল বিক্রিতেই বিপিসির লাভ ও লোকসান নির্ভর করে। 

জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও উন্নত বিশ্বে প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসাবে সরকার ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঘোষণা করে। এ প্রক্রিয়া চালুর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশে কমবে, আবার বাড়লে দেশের বাজারেও বাড়বে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম