দেশে বোতলজাত পানির দাম ১ বছরে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মূল্যবৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এ সময় অবিলম্বে সব ধরনের বোতলজাত পানির মূল্যবৃদ্ধি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বোতলজাত পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানায় ক্যাব।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে মানুষ নানাভাবে বিপদগ্রস্ত। ১৫ টাকার আধা লিটার পানির বোতলের দাম ২০ টাকা করা হয়েছে। বাজারে পরিচিত ব্র্যান্ডের ৫০০ মিলি. পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এখন ২০ টাকা। কয়েকদিন আগে এসব ব্র্যান্ডের ৫০০ মিলি. পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ১৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ৫০০ মিলি. বোতলজাত খাবার পানির পাইকারি মূল্য ১১ থেকে ১২ টাকা। অর্থাৎ ৫০০ মিলি. পরিমাণের প্রতি বোতল পানি খুচরা পর্যায়ে ৮ থেকে ৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বোতল সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ওয়াসা হুমকি দিয়ে পানির দাম বাড়াচ্ছে। তারা হুমকি দেয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে।
হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন সময়ক্ষেপণ করে কিছু কোম্পানিকে বাড়তি মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সময় তিনি ক্যাবের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে সব ধরনের বোতলজাত পানির অযৌক্তিক, অন্যায় ও অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করা; ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা; বোতলজাত পানির মূল্য স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধভাবে হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে ভোক্তাসাধারণকে কষ্টে ফেলেছে, তাদের আইনানুগ বিচার ও শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া; সময়ক্ষেপণ করে সংশ্লিষ্ট বোতলজাত পানি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে অপসারণ করা।