৭ জানুয়ারির নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দিল বাকি তিন দল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে তিনটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮ দলের মধ্যে যে তিনটির হিসাব দেওয়া বাকি ছিল।
দল তিনটি হলো- গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এরমধ্যে বিলম্বের কারণে গণফ্রন্ট ও ন্যাপকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে যথেষ্ট খুশি হয়েছি৷ আরপিও অনুযায়ী- যেটা লেখা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি যে, আমরা কোনো খরচ করিনি৷ একটা দূরত্ব হয়ত ছিল, তারা (ইসি) হয়ত আমাদের লেখাটা স্পষ্ট করে বুঝতে পারেননি৷ এটা মিটে গেছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আরপিও অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে দলগতভাবে যে ব্যয় হয়, তার হিসাব দিতে হয়। উনাদের (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের) বক্তব্য হলো গত ৮ মে যে তথ্য জমা দিয়েছেন, ওইটাই উনাদের ব্যয় বিবরণী। সেটা ব্যয় বিবরণী ফরমে দেওয়া ছিল না, সেজন্য আমরা উনাদের চিঠি দিয়েছিলাম। এখন বিষয়টি আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দলীয়ভাবে উনারা কোনো ব্যয় করেননি। ব্যক্তির ব্যয় হয়েছে। কমিশন এই বক্তব্য গ্রহণ করেছে। ৮ মে দেওয়া ওই তথ্য হিসাব বিবরণী হিসেবে গৃহীত হওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়নি তাদের। তবে অন্য দুটি দল জরিমানা দিয়েছে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আর বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের মধ্যে নির্ধারিত সময় ৭ এপ্রিলের মধ্যে ২৫টি দল তাদের নির্বাচনি ব্যয়ের বিবরণী জমা দেয় ইসিতে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় ব্যয়ের হিসাব না দিলে ৩০ দিন সময় দিয়ে সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে আরও ১৫ দিন সময় নেওয়া যায়। বর্ধিত সময়েও হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে দলের নিবন্ধন বাতিল করে দিতে পারবে ইসি।