Logo
Logo
×

অন্যান্য

যে কারণে সহকর্মীর ওপর গুলি চালান কনস্টেবল কাউসার

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ১০:২৯ এএম

যে কারণে সহকর্মীর ওপর গুলি চালান কনস্টেবল কাউসার

রাজধানীর গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক পুলিশ সদস্য। শনিবার দিবাগত রাতে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল। নিহত মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দায়িত্ব পালনরত দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে কাউসার আলী অস্ত্র তাক করে গুলি ছোড়েন। সরাসরি বুকে গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনিরুল ইসলাম। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, কাউসার আলী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন।

ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।

ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশার আরিফুল ইসলাম সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমরা হামলাকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি তিনি পাঁচ-ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তার ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম