পিএসসির মাধ্যমে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য পিএসসির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের (১৩ থেকে ২০ গ্রেড) নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে। এরপরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগতি করা হবে, ওনার মতামত নেওয়া হবে। এ ছাড়া আমাদেরও কিছুদিন বিষয়টি দেখতে হবে। তবে ৩ মাসের মধ্যে আশা করি একটা সিদ্ধান্ত আসবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, হয়রানি বন্ধ হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৩তম থেকে ২০তম- এই আটটি গ্রেডের কর্মচারীরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির হিসেবে পরিচিত। সরকারি চাকরিতে এ দুই শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি পদ আছে ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত পদ ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৯টি, যা মোট সরকারি কর্মচারীর ৭১ শতাংশ। প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রথম শ্রেণির এবং এর পর ১২তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে পরিচিত।
বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ’র সহ-সভাপতি এমএ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ, ওবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন।