নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ ৬ দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরতরা অংশ নেন।
ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেল দেওয়ার পর ৯ বছরে দ্রব্যমূল্য তিনগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া ৮ম পে-স্কেলে টাইমস্কেল-সিলেকশন গ্রেড রহিতকরণসহ আকাশ-পাতাল বৈষম্য ছিল। দেশের মানুষের গড় আয় বাড়লেও নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের আয় বাড়েনি। তাই পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণার এবং পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখার জোর দাবি জানান নেতারা।
তাদের অন্য দাবিরগুলোর মধ্যে রয়েছে- মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে যাওয়া কর্মচারীদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিত করণসহ সব পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সব ভাতা পুনঃনির্ধারণ ও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। বিদ্যমান গ্র্যাচুইটি এবং আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশর স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।