প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ‘রেমাল’, আঘাত হানতে পারে যেদিন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এর নাম হবে ‘রেমাল’। এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে।
শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হলে এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং সুন্দরবন এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। একই দিন সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে সবই গতির ওপর নির্ভর করবে।
তিনি জানান, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে এর কেন্দ্রটা সরাসরি দেশের ওপর আঘাত হানবে। উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে এর শক্তি বাড়তে পারে। উপকূল অতিক্রম করার চার-ছয় ঘণ্টার মধ্যে শক্তি হারাতে পারে।
এ আবহাওয়াবিদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার রাত থেকেই উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলের কাছাকাছি এলে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়তে পারে। যত কাছে আসবে, তত ভারি বর্ষণ হবে। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দেশের গরম কমবে না।
আবহাওয়া অফিসের পরিচালক বলেন, নিম্নচাপটি উত্তর পূর্বে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার। ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। নিম্নচাপটি সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখানো হচ্ছে। মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপসংক্রান্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রথম বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপটি শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপূংলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।