Logo
Logo
×

অন্যান্য

সুযোগ সন্ধানী কিছু লোকের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম

সুযোগ সন্ধানী কিছু লোকের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকা স্বত্ত্বে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোকের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। সে লক্ষ্যে রোজার ঈদের আগে যেভাবে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে, সেভাবে মনিটরিং করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে। 

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

গত সোমবার কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

আজ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব। যাতে ঈদকে সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং, একটা স্বাভাবিক গতিতে এ কার্যক্রম চলে। রমজানে ও ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

পণ্যের উর্ধ্বমুখী মূল্যের কারণে মানুষ স্বস্তিতে নেই, নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা সরকার নেবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না। এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। পণ্যের চাহিদা ও জোগান এবং পণ্যের মূল্য যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, সেটি রাখার চেষ্টা থাকে। তবে আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি, এটা তো মুক্তবাজার অর্থনীতি।

বাজার মনিটরিংয়ের অবহেলা থেকে কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল। বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য ছিল। 

ভোজ্যতেল প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডলারের দাম বাড়লেও কুরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ন করা হবে না। আশা করছি, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা সে সময় পর্যন্ত মূল্য বাড়াবেন না। 

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ পড়বে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের সমন্বয় ১০-১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। সেই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তখন ১২০-১২২ টাকায় ডলার কিনে নিষ্পত্তি করেছেন। 

ঈদের পর দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, ভোজ্যতেল একটি আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম