Logo
Logo
×

অন্যান্য

টাঙ্গাইল শাড়িসহ জিআই সনদ পেল ১৪ পণ্য

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ পিএম

টাঙ্গাইল শাড়িসহ জিআই সনদ পেল ১৪ পণ্য

টাঙ্গাইল শাড়ি, রাজশাহীর মিষ্টিপান, নরসিংদীর সাগরকলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসাবে স্বীকৃতি দানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্য প্রদর্শন করা যেতে পারে। ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। 

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা। 

জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসাবে স্বীকৃতি পেতে পারে- এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। 

এদিন যেসব জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সনদ দেওয়া হয়, সেগুলো হলো গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগরকলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মন্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টিপান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটির দেওয়া জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টিতে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম