ফাইল ছবি
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) প্রায় ৯৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে এই আবেদন শুরু হয়। চলবে আগামী ৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। পরদিন ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ফি পরিশোধ করতে পারবেন আবেদনকারীরা। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা।
৩১ মার্চ ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এটি পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি নামে পরিচিত। এতে আবেদনকারীর বয়স ৩৫-এর কম থাকার বিষয় উল্লেখ থাকলেও এর ঊর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৪৩ হাজার ২৮৬টি শূন্যপদ রয়েছে। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। সবগুলো এমপিওভুক্ত পদ। একজন প্রার্থী এক আবেদনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনের নিচে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেলে যোগ দেবেন কি না?’ এ বিষয়েও মত দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। আগ্রহী প্রার্থীরা http://ngi.teletalk.com.bd অথবা http://www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর চারটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১২ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। বুধবার আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২০ উত্তীর্ণ বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে ২০০ জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।