শাহজাহান ওমরদের বিএনপি ছাড়ার ‘আসল’ কারণ জানালেন আসিফ নজরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
হতাশা, লোভ ও চাপের কারণে শাহজাহান ওমররা বিএনপি থেকে বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে মেজর ইব্রাহিমের যে ভিডিওটি রয়েছে এবং মেজর হাফিজের যেসব কথা বেরিয়েছে, সেগুলো তো স্পষ্ট। সরকার বিভিন্ন কৌশল করে, গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর মাধ্যমে ছোট ছোট দল এবং বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপকে প্রলোভিত করে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে আনার চেষ্টা করেছে।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাহজাহান ওমরের ক্ষেত্রে কী ভয় দেখানো হয়েছে, না প্রলোভন সেটি আমরা জানি না। তবে একটা জিনিস তো স্পষ্ট দেখলাম- যে মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসরা জামিন পান না, সে মামলায় তিনি রাতারাতি জামিন পেয়ে গেলেন। এখানে তো একটা লেনদেন হয়েছে। সরকার সক্রিয়ভাবেই বিএনপির বহু নেতাকে দল থেকে বের করার চেষ্টা করেছে এমন আলামত স্পষ্ট। আর এটিই স্বাভাবিক।
বিএনপি নেতাদের ভাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আইনের এ অধ্যাপক বলেন, এত চেষ্টার পর এত বছরে মাত্র কয়েকজনকে বের করতে পেরেছে। এটা বরং সরকারের ব্যর্থতা। আর এটিই বিএনপির সফলতা। ‘৭৫-এর পর ১৫ বছর চাপে থেকে আওয়ামী লীগের কী অবস্থা হয়েছিল আর এখন বিএনপির কী অবস্থা। আপনি তুলনা করে দেখেন। তখন তো স্পট দুটো আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিল। তো এটা আমি বিএনপির সফলতা এবং সরকারের দুর্বলতা মনে করি যে এত বছরেও বিএনপির কিচ্ছু করতে পারেনি তারা।
আসিফ নজরুল বলেন, শাহজাহান ওমররা এত গুরুত্বপূর্ণ নন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি বড় কোনো নেতাও নন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানুষের একটা সম্মানবোধ ছিল, এখন সেটা আছে কিনা সন্দেহ। এগুলো কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো— আপনি কত বছর ক্ষমতার বাইরে থাকবেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে কর্মসূচি নির্ধারণ করতে হবে। অনন্ত কাল তো আপনি বাইরে থাকবেন না।
বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির আরও দু’একজন নেতা দল ছাড়তে পারেন মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, কিন্তু এটাতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বড় কয়েকজন নেতা যাদের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তারা যদি বিকল্প কোনো দল করেন সেটাই হবে বিএনপির ভাঙন। যেমন মির্জা ফখরুল, আমির খসরু, রিজভী— এরা বের হয়ে যদি অন্য কোনো দল করেন সেটাকে ভাঙন বলতে পারেন। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন নেতা চলে গেলে সেটাতে কিছু হবে না।