দ্রব্যমূল্য সামলানো ভোক্তা অধিদপ্তরের একমাত্র কাজ না: মহাপরিচালক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
বাজারে দ্রব্যমূল্য সামাল দেওয়াই ভোক্তা অধিকারের একমাত্র কাজ না। আমার একার পক্ষে বাজার সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের মূল কাজ ভোক্তাদের সচেতন করা।
রোববার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারের কাজ ভোক্তাদের সচেতন করার পাশাপাশি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা। সেই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার বাজার মনিটরিং করে থাকে। বাজার মনিটরিংয়ের একটি অংশ দ্রব্যমূল্য সামাল দেওয়া। কিন্তু এটি অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। অধিদপ্তরের হাতে সব বিষয় নেই। যতদূর সম্ভব অধিদপ্তর দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আজকেও (রোববার) অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫০টি টিম বাজার তদারকি করছে। একটু আগেও আমাদের কাছে খবর এসেছে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু হোটেলে একটি পাঞ্জাবি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে আমরা টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
গরুর মাংসের দাম ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দিয়ে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, খলিলসহ রাজধানীর আলোচিত তিন ব্যবসায়ী এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
এদিকে রমজান মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেও ১০ রোজা শেষ হওয়ার আগেই মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তবে দুদিনের ব্যবধানে আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০ রোজা পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজিতেই মাংস বিক্রি করবেন।
পাশাপাশি মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বলেন, তিনি ৫৯৫ করে বিক্রি করলেও এখন থেকে ৬৩০ টাকা কেজি বিক্রি করবেন। আর নয়ন জানান, তিনি গরুর বিভিন্ন অংশের মিশ্রিত মাংস ৬০০ আর ফ্রেশ দোকানে টাঙানো মাংস ৬৫৯ টাকা কেজিতে বিক্রি করবেন।