প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চাশের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের বিদ্যালয়ে একীভূত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
গত ১০ বছরে দেশের যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর কম, সেই সব বিদ্যালয়কে পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বিলায়ছড়ি একটা উপজেলা আছে, সেখানে একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছরই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা মার্জ করব না। কারণ, ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার জায়গা থেকে আসে। সুতরাং ওই প্রেক্ষাপট আমরা বিবেচনায় নেব। আমরা একেবারে ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত নেব না। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা মার্জ করে দেব। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই স্কুলে গত দশ বছরে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনো হয়নি।
সচিব আরও বলেন, আবার দেখা যায় কোনো কারণে করোনার সময় ৫০ জনের নিচে চলে আসে। এখন আবার ৮০-৯০ হয়েছে। আমরা এ স্কুল বন্ধ করব না। আবার অন্যদিকে দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তি জন্য আরও ১ হাজার শিক্ষার্থীর ডিমান্ড (চাহিদা) আছে। এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেব।