Logo
Logo
×

অন্যান্য

পরিচালকদের সতর্ক করল নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:১২ পিএম

পরিচালকদের সতর্ক করল নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোয় সার্বিক অগ্রগতি কম হওয়ায় প্রকল্প পরিচালকদের সতর্ক করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে কারও গাফিলতি ও অদক্ষতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে অন্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এনে প্রকল্প পরিচালক করা হবে। আর যেসব প্রকল্পের পরিচালকদের কর্মদক্ষতা ভালো, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। 

মঙ্গলবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে প্রকল্প পরিচালকদের এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে কোন প্রকল্পে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই কর্মকর্তারা জানান, সভায় নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়েছে। পরিচালকদের ঘনঘন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কার্যক্রম মনিটরিং করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ডিপিপি এমনভাবে তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে পরবর্তী সময়ে সংশোধনের প্রয়োজন না হয়। প্রকল্পের কাজে অর্থ সাশ্রয় ও সময়মতো কাজ শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা সব প্রকল্প পরিচালককে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোকে নিরুৎসাহিত করা হয়। চলতি অর্থবছরে যে চারটি প্রকল্প শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো যে কোনো মূল্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। 

বৈঠকের পর নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘কিছু প্রকল্পের কার্যক্রমে ধীরগতি রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকদের তাদের কাজে গতি বাড়ানোসহ বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ 

এদিকে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। 

জানা যায়, সভায় পাওয়ার প্রেজেন্টেশনে প্রতিটি প্রকল্পের অবস্থা তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, চলতি  অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত এবং তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। প্রকল্পের বরাদ্দ ১০ হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ১৩.৯৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত আরএডিপিতে প্রকল্প ঋণ খাতে কমছে ৩ হাজার ৫৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বৈঠকে বিদেশি ঋণপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ওই টাকা ফেরত যাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কম হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। 

আরও জানা যায়, বৈঠকে নারায়ণগঞ্জে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় টার্মিনাল ভবনের কাজ বন্ধে বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনার কথা জানান বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ) প্রকল্পের পরিচালক। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রকল্প পরিচালক বিশ্বব্যাংক নাকি সরকারের চাকরি করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। বিআইডব্লিউটিএ-এর ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়াগাছ, রাজিবপুর, রৌমারী ও নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বৈঠকে। ওই প্রকল্পের পরিচালককে প্রকল্প এলাকায় বারবার পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের ইজিআইএমএসএস প্রকল্পের অগ্রগতি থমকে থাকা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই প্রকল্পের কোরিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ভিসা জটিলতায় দেশে আসতে না পারার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে তাদের ভিসা সমস্যার সমাধানের অনুরোধ জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম