ভোক্তাদের সুবিধা দিলে ব্যবসায়ীরাও সুবিধা পাবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, ভোক্তাদের সুযোগ-সুবিধা দিন। কম দামে পণ্য নিশ্চিত করুন। তাহলে আপনারাও সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি শুক্রবার এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী প্রমুখ।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম ট্রাক আসবে। পর্যায়ক্রমে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসবে। রমজানের আগে এ পেঁয়াজ দেশে আনার ইচ্ছা ছিল। নানা কারণে হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা যারা করেন তাদের সহযোগিতা চাই। ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসতে হবে। অল্প সময় হলো এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। এ সময়ে মধ্যে চেষ্টা করেছি রমজানে পণ্যগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে। তেলের দাম কমিয়েছি। ডাল, ছোলা, চিনি বাজারে আছে। কিছু কৃষিপণ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী করতে কাজ করছি। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছি। তারা পণ্যের খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করবে। আমরা ব্যবসায়ীদের কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। এ রমজানে অনেক ব্যবসায়ী ও কোম্পানি মিলগেট প্রাইজে পণ্য বিক্রি করছে। এতে ভোক্তারা অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার এক কোটি পরিবারের প্রায় চার কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিচ্ছে, যাতে স্বস্তির সঙ্গে সাধারণ মানুষের রমজান পার করতে পারে। আগামীতে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের গোডাউন করে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করব। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো শুল্ক কর থাকার দরকার নেই। এছাড়া সরকারের এমন প্রয়োজনীয় পণ্য ২০-২৫ শতাংশ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের পণ্যে আমদানি চাহিদা ও জোগান নিয়ে সঠিক তথ্য নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু পণ্যমূল্য নিশ্চিত সম্ভব নয়।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, ২০৪১ সালে টেকসই উন্নয়নের রোডম্যাপে যেতে হলে সব প্যারামিটারে উন্নয়ন করতে হবে। সে জায়গায় ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য সরকারের পাশাপাশি অন্যদের কাজ করতে হবে। বেসরকারি খাত ও ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের জায়গায় ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় বেশি দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ নিচ্ছে। এদিক থেকে বেসরকারি খাতকে সচেষ্ট হতে হবে। অনেক আইন হয়েছে। অর্থনীতি বড় আকার ধারণ করেছে, সে কারণে ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করতে হবে। সব ক্ষেত্রে আইনের কঠিন প্রয়োগ করতে হবে।