Logo
Logo
×

অন্যান্য

সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম

সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব

১৮ হাজার কোটি টাকা বাদ দিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদিত হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং তৃতীয় অবস্থানে গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাত রয়েছে। 

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। 

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উন্নয়ন প্রকল্পের গতি আনতে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি একটি রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেন। 

বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মূল এডিপি থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আরএডিপির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সংশোধিত এডিপিতে সরকারি তহবিলের ক্ষেত্রে ৩৬টির বরাদ্দ কমেছে। দুটির বরাদ্দ অপরিবর্তিত আছে এবং ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে। সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা পেয়েছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি এবং গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি ২৮ হাজার ২ কোটি টাকা পেয়েছে। 

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া অল্প বরাদ্দ দিয়ে যেসব প্রকল্প শেষ করা যাবে, সেগুলোকে বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বলেছেন। প্রকল্পের মনিটরিং বাড়াতে মন্ত্রী ও সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আব্দুস সালাম বলেন, বরাদ্দ বৃদ্ধি বা কমানো চলমান প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে এবং যারা খরচ করতে পারেনি, তাদের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের বাধা দূর করতে অনেক আলোচনা হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে রূপরেখা দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, সীমান্ত এলাকায় বাস্তবায়নাধীন দুটি প্রকল্প ছাড়া বাকি প্রকল্পগুলো অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে মূল এডিপির তুলনায় প্রকল্প সমাপ্তির লক্ষ্য কমেছে। এক্ষেত্রে এডিপিতে ৩৪৬টি শেষ করার কথা ছিল। এর মধ্যে বিনিয়োগ ২৮৭, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ১৭টি, কারিগরি সহায়তা ৩২টি এবং নিজস্ব অর্থায়নের ১০টি প্রকল্প। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে শেষ করার প্রকল্পের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩৩২টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ ২৭১টি, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ১৯টি, কারিগরি সহায়তা ২৯টি এবং স্ব-অর্থায়নের ১৩টি প্রকল্প রয়েছে। ফলে তুলনামূলক এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কমছে ১৪টি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) ৭৬টি প্রকল্পের তালিকা যুক্ত হচ্ছে সংশোধিত এডিপিতে। মূল এডিপিতে এ সংখ্যা ছিল ৭৯টি। কমছে তিনটি প্রকল্প।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম