Logo
Logo
×

অন্যান্য

ভূমির পুরোনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ চলছে: মন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম

ভূমির পুরোনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ চলছে: মন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমিবিষয়ক বিবিধ আইন ও বিধিমালা সংস্কার হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে থাকা ভূমিবিষয়ক পুরোনো আইনকানুন ও বিধিবিধান বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বুধবার বিকালে রাজধানীর এক হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ নামে বাংলায় ভাষান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া Land Reforms Ordinance,1984 রহিত করে নতুনভাবে ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩ নামে বাংলায় প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যান্য যেসব আইন ও বিধিমালা এখনো ইংরেজিতে আছে তা বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দীদার বখত প্রমুখ।

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করে গণপরিষদে প্রস্তাব পাস করা হলো তখন থেকেই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই শুরু। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। বাংলা ভাষার দাবি পরিণত হয় সংগঠিত আন্দোলনে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকে শহিদ হন।

তিনি বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আজ সারাবিশ্বের সব নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস।

মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত হন বঙ্গবন্ধু। দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে যেসব সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেন তা শেষ করার মতো যথেষ্ট সময় তিনি পাননি। জাতির পিতার দূরদর্শী কন্যার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে।  প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও একুশের চেতনা ধারণ করে আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলায় একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে হবে।

পরে ভূমিমন্ত্রী প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম