কিশোর গ্যাং ও প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি সংসদে
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
‘কিশোর গ্যাং’ ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঢাকা শহরে মানুষের বসবাস করা কঠিন। এসব বাহিনীর যারা চাঁদাবাজি করছে, লুটপাট করছে, মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে; তারা পুলিশ, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং কমিশনারদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব করছে। যারা এসব কাজে জড়িত, সেটা সরকারি দলের হোক বা পুলিশের হোক- এদের বিরুদ্ধে একটা ‘ড্রাস্টিক অ্যাকশন’ নেওয়ার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এজন্য পরিকল্পনা করে এদের ধরপাকড় করে আইনের আওতায় আনতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য খসরু চৌধুরীও কিশোর গ্যাং নিয়ে কথা বলেন। তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩৭৩৩ কিলোমিটার নদী খনন : এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের নৌ যোগাযোগব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নদীর নাব্য বাড়াতে বর্তমান সরকার ৪৯১টি নদী খননের একটি ড্রেজিং ধারণাপত্র তৈরি করেছে। বিআইডব্লিউটিএ ৩৭৩৩ কিলোমিটার নৌপথ খননের মাধ্যমে নাব্য করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নৌ যোগাযোগব্যবস্থায় আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৩৫টি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
এম আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ শীর্ষক বইয়ের তথ্যমতে বাংলাদেশে বর্তমানে নদীর সংখ্যা ১০০৮টি। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আরও নদীর সংখ্যা পাওয়া গেছে। প্রক্রিয়াটি চলমান আছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ৯৩১টি নদী প্রবহমান রয়েছে এবং নাব্য হারিয়েছে এমন নদীর সংখ্যা ৩০৮টি।