জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটি তথ্যগত ভুলের কারণে দিয়েছেন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভায় তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 

গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে হাইকমিশনার বলেন, ‘রোববারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনি পরিবেশ সহিংসতা এবং বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বিগত মাসগুলোতে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্বিচার আটক বা ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ধরনের কৌশলগুলো সত্যিকার অর্থে প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়।’

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলব। তার কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত ভুলের কারণে তিনি এ বিবৃতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের বিবৃতি

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন-অত্যাচার হয়েছিল, সেই মামলাগুলো এবং ২০১৩ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো ম্যাচিউরড হয়েছে। সেগুলোর বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে। বিচারকার্য আদালত করেন, সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই।