Logo
Logo
×

অন্যান্য

৪১তম বিসিএস: নন-ক্যাডারে পদবঞ্চিতদের নিয়োগ দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম

৪১তম বিসিএস: নন-ক্যাডারে পদবঞ্চিতদের নিয়োগ দাবি

মানবিক বিবেচনায় কোভিডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারে পদবঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ৪১তম বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত সৌরভ দাশ শুভ, রেজাউল ইসলাম, ইমরান শিশির, তারেফুর রহমান, ইমরান শাহরিয়ার প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এবং করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডারে পদবঞ্চিত প্রার্থী। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমরা আমাদের জীবনের প্রায় পাঁচটি বছর অপেক্ষা করে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বিসিএস এর মাধ্যমে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। বর্তমান সরকার বেকারবান্ধব সরকার। এই সরকার প্রতিটা বিসিএস থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ দিচ্ছে। বিশেষভাবে ৩৮তম বিসিএস এবং ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রায় সব প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১তম বিসিএস প্রার্থীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

তারা বলেন, পূর্বের সব বিসিএসের তুলনায় ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডার প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও ৪১তম বিসিএসে পূর্বের সব বিসিএসের অনুপাতে সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সমগ্রেড এবং নিচের গ্রেডে আবেদনের সুযোগ থাকায় অনেকে জয়েন করবে না জেনে ও চয়েজ দিয়ে পদ নষ্ট করছে। যারা নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের মধ্যে বিশাল সংখ্যক প্রার্থী বিভিন্ন ভালো পদে চাকরি করায় তারা এই পদে জয়েন করবে না। পদ ঠিকই শূন্য থাকবে অথচ খালি হাতে ফিরবে প্রায় ৬০০০ প্রার্থী। ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএস কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় ৪৩তম বিসিএসের রেজাল্ট দেওয়ার পর দেখা যাবে অনেকেই ক্যাডার সার্ভিসে চলে যাবে। এই পদগুলো খালি রয়ে যাবে, প্রজাতন্ত্র হারাবে চৌকস কিছু কর্মচারী। বেকার রয়ে যাবে হাজারো প্রার্থী, যারা বিসিএসের সব ধাপ অতিক্রম করেছে অথচ নিয়োগ পায়নি। 

তারা আরও বলেন, ৪১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ বেশিরভাগ প্রার্থীই করোনার কবলে পড়ে বয়সের সীমারেখা পার করেছে। তারা আজ সমাজ, পরিবারের বোঝা হয়েছে। তারমধ্যে অনেকেই নন-ক্যাডার থেকে চাকরি পাওয়ার শেষ ভরসাটুকু হারিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। চাকরির জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম