বদলিজনিত তথ্য আপডেট না করলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম
যেসব কর্মকর্তা বদলিজনিত তথ্য অনলাইনে আপডেট করবেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যথাসময়ে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপডেট না করায় পরবর্তী পদায়নের সঠিক তথ্য পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। কোনো কোনো কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে ইতোমধ্যে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গভর্নমেন্ট ইমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (জিইএমএস) আওতায় সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম ধাপে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করেছে। পর্যায়ক্রমে সব ক্যাডারসহ সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ১৯ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যেককে তার পার্সোনাল ডাটা শিট (পিডিএস) ফরম নিজে আপডেট রাখতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে এ কাজ সমন্বয় করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লোকপ্রশাসন কম্পিউটার কেন্দ্র বা পিএসিসি।
পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএমআইসএস) পদ্ধতি অনুসরণ করে পিএসিসি শাখা এতদিন সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘ পিডিএস প্রস্তুতের কাজ করে আসছিল। অবশ্য এখনো বহাল আছে। তবে জানুয়ারি মাস থেকে পিএমআইএস আর থাকছে না। কোনো কর্মকর্তা যাতে নিজের সুবিধামতো ভুল তথ্য যুক্ত করতে না পারে সে বিষয়েও কাউন্টার চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
সূত্র জানায়, জিএমইএস চালু হলেও কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার বদলিজনিত তথ্য যথাসময়ে হালনাগাদ করছেন না। বিশেষ করে বদলিকৃত কর্মস্থল পছন্দ না হলে কারও কারও মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব কর্মকর্তা জিইএমএস সিস্টেমে ঢুকে বদলিজনিত তথ্য আপডেট না করে উলটো পছন্দের স্থানে পোস্টিং নিতে জোর তদবির করছেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট পদে পরবর্তী পদায়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বেগ পেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দায়িত্বশীল একজন পদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, কোনো ভালো কাজ শুরু করতে গেলে প্রথমদিকে এ ধরনের কিছু জটিলতা থাকবে। আপাতত আমরা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে একটা পর্যায়ে হয়তো কঠোর হতে হবে। সেক্ষেত্রে কারণ দর্শানো ছাড়াও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
তিনি জানান, সত্যিকারর্থে স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল পেতে হলে সবার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট হতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিজিটালি ফিট হলে একজন কর্মকর্তা যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট করা ছাড়াও ডাউনলোড করে নিজের তথ্য প্রাপ্তির চাহিদাও মেটাতে পারবেন। এজন্য কাউকে আর সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ছুটতে হবে না।
যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের ১৯ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এছাড়া জিইএমএসের আওতায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে। যেমন- এপিআর বা বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন এবং প্রতিটি দপ্তরভিত্তিক কর্মরত ও শূন্যপদের হালনাগাদ তথ্য সন্নিবেশ করা প্রভৃতি। এটি করা সম্ভব হলে অর্থবছরের শুরুতে বা প্রয়োজন হলে সরকার যে কোনো সময় শূন্যপদ পূরণে নির্ভুল পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।