Logo
Logo
×

অন্যান্য

আউশ মৌসুমেও যন্ত্রের ছোঁয়া

তিন মৌসুমে কৃষকের সাশ্রয় ৩০৫১ কোটি টাকা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

তিন মৌসুমে কৃষকের সাশ্রয় ৩০৫১ কোটি টাকা

বোরো ও আমনের পর আউশ মৌসুমেও ধান কাটতে স্মার্ট কৃষির ছোঁয়া লেগেছে। কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে তিন মৌসুমে ধান কাটায় সময় কম লাগার পাশাপাশি অপচয় কমেছে। ফলে তিন মৌসুমে কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এরমধ্যে আউশ মৌসুমে ৩৩৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বুধবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক তথ্য পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমন ও বোরো মৌসুম মিলিয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ জমির ধান যান্ত্রিকভাবে সংগ্রহের আওতায় আনা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ৪ শতাংশ ধান কাটা হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আমন মৌসুমে ১১ দশমিক ২২ ও বোরো মৌসুমে ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ দাঁড়ায়। গড়ে প্রায় ১৭ শতাংশ। এ ছাড়া আউশে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমির ধান এবার যান্ত্রিকভাবে কাটা হয়েছে। ফলে জাতীয় পর্যায়ে মোট তিন মৌসুমে ১৯ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান যান্ত্রিকভাবে সংগ্রহের আওতায় আসল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, সরকারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্র প্রদানের ফলে এ সাফল্য পাওয়া গেছে। জেলার ৪৩ হাজার ১৭ হেক্টর জমি আউশের আওতায় আসে। এরমধ্যে ৩০ হাজার ৮৩৬ হেক্টর কম্বাইন হারভেস্টর দিয়ে কাটা হয়েছে। কম মূল্যে ধান কাটা ও সংগ্রহে অপচয় রোধ হয়েছে। এ জেলায় কৃষকদের সম্মিলিত সাশ্রয় ৫৫ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি নয় হাজার টনের বেশি ধান অপচয় রোধ হওয়ায় কৃষকের হাতে ২৫ কোটি টাকা থেকে গেছে।

বরগুনার বুড়িরচরের তরুণ উদ্যোক্তা আবুল কালাম জানান, দুই বছর আগে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে মেটাল কোম্পানি থেকে একটি ফুল ফিট হারভেস্টর কিনেছি। ৮ লাখ টাকার কিছু বেশি খরচ পড়ে। এবার আউশ ধান কেটে ৪০ দিনে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পেয়েছি। এরমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিচালন খরচ হয়েছে।

বরগুনা জেলার কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, তার জেলা আউশ মৌসুমে যান্ত্রিকভাবে ধান সংগ্রহে প্রথম। ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টরের সহজলভ্যতায় অনেক অবস্থা সম্পন্ন তরুণ কৃষক যন্ত্রটি কিনেছেন। যন্ত্রটি কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছে। জেলায় ৩৩৮টি কম্বাইন হারভেস্টর রয়েছে। এ বছর ৪৪ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমির মধ্যে ৩৫ হাজার ১১৩ হেক্টর জমির ধান কম্বাইন হারভেস্টর দিয়ে কাটা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে ভোলায় ৪৫ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ৩০ শতাংশ আউশের জমি কম্বাইন হারভেস্টিংয়ের আওতায় এসেছে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোরের ২০-৩২ শতাংশ আউশের জমি যান্ত্রিক কর্তনের আওতায় এসেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম