Logo
Logo
×

অন্যান্য

খাজা টাওয়ারে কাল-পরশুর মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০২ পিএম

খাজা টাওয়ারে কাল-পরশুর মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ

খাজা টাওয়ারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইন্টারনেট স্বাভাবিক হওয়ার আগেই মতিঝিল এলাকায় এই সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) মতিঝিল এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের কেবল কেটে দিয়েছে। এ কারণে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, পল্টনসহ আশপাশের কিছু এলাকার মানুষজন ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না। 

এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত খাজা টাওয়ারে মঙ্গলবারও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। ফলে এখনো ঢাকার ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন। 

জানা গেছে, ইন্টারনেট-সেবা স্বাভাবিক হতে আরও ১০ থেকে ১২ দিন লাগতে পারে। মঙ্গলবার ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক এসব তথ্য জানান। এদিকে ডেসকো জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ক্লিয়ারেন্স না থাকায় এতদিন তারা খাজা টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। মঙ্গলবার তারা এই ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে। কাল-পরশুর মধ্যে ফের খাজা টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু করতে পারবেন। তাদের ধারণা পুরো টাওয়ারে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ দিন লাগতে পারে। 

এমদাদুল হক বলেন, খাজা টাওয়ারের আগুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ পূর্ণগতির ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন। বাকিরা শতভাগ না পেলেও ধীরগতির সেবা পাচ্ছেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, খাজা টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এই ভবনের কিছু ব্যাকআপ আশপাশের ডাটা সেন্টারগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাতে পার্শ্ববর্তী ডাটা সেন্টারগুলোর স্পেস পূর্ণ হয়ে গেছে। এ কারণে ইন্টারনেট ধীরগতি হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও কাজও করছে না। তিনি বলেন, খাজা টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর আস্তে আস্তে ডাটাগুলো সেখানে স্থানান্তর করা হবে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

এদিকে ইন্টারনেট সেবাকে জরুরি সেবা ঘোষণার পরও কোনো নোটিশ ছাড়াই মঙ্গলবার মতিঝিল এলাকার সব ওভারহেড কেবল কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এমদাদুল হক। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ওই এলাকায় ভিভিআইপি মুভমেন্ট থাকার কারণে আগামী দুদিনের মধ্যে বিচ্ছিন্ন তার সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে পুরো মতিঝিল এলাকায় আগামী ৩-৪ দিন ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হবে কিংবা ধীরগতির হবে।

এমদাদুল হক বলেন, কেবল কাটার পর তারা সংযোগ পুনস্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডিপিডিসি জানিয়েছে, আগামী দুদিনের মধ্যে সেখানে কোনো কাজ করতে পারবে না কেউ। এ অবস্থায় বিকল্প পন্থায় ওই এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তিনি বলেন, কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে কমপক্ষে ৫-৬ হাজার গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। বর্তমানে দেশে মোট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর  সংখ্যা এক কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম