Logo
Logo
×

অন্যান্য

তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন পঙ্গু হাসপাতাল, মোমবাতির আলোয় রোগী দেখলেন চিকিৎসকরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৫ পিএম

তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন পঙ্গু হাসপাতাল, মোমবাতির আলোয় রোগী দেখলেন চিকিৎসকরা

রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) বিদ্যুৎ ছিল না তিন ঘণ্টা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। এ সময় চিকিৎসকদের মোমবাতি ও মোবাইলের আলোয় রোগী দেখতে হয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা যুগান্তরকে জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে মিটার পুড়ে যাওয়ায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালের একটি ভবনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই সময় আউটডোরে যে চিকিৎসকরা ছিলেন, তাদের কেউ কেউ রোগী দেখেছেন মোমের আলোয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের রাখা হয় পুরাতন ভবনে, সেখানেও সকালে বেশ কিছু সময় বিদ্যুৎ ছিল না। তবে ভোগান্তি বেশি হয়েছে নতুন ভবনে বহির্বিভাগ ও টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষায় থাকা রোগীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় টিকিট কাউন্টারে ছিলেন না কেউ। ফলে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর চাপ বেড়ে যায় অনেক।

বুধবার সকালে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে স্বামীর ভাঙা পায়ের এক্স-রে করানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মুন্নী বেগম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল ৮টার আগে টিকিট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কারেন্ট নেই। কখন কারেন্ট আসবে আর কখন ডাক্তার দেখাব। আজ যদি না দেখাতে পারি তাহলে কী লাভ হলো। আমরা গরিব মানুষ, আজ ফিরে গিয়ে কাল আসব সেই টাকা পাব কোথায়?’

বহির্বিভাগে টিকিটের দীর্ঘ লাইনে থাকা তাহের উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অসুস্থ শরীরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমার মতো অন্য রোগীদেরও একই অবস্থা। কিন্তু কারও কোনো পদক্ষেপও নেই।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে, টেবিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে তারা রোগী দেখছেন। এ সময় একজন চিকিৎসক জানান, সকাল থেকেই বিদ্যুৎ  নেই। তাই আমরা আপাতত ভর্তি আর ফলোআপ রোগী দেখছি। টিকিট বন্ধ থাকায় নতুন রোগী দেখতে পারছি না, কাগজ ছাড়া ব্যবস্থাপত্রও লিখতে পারব না।

হাসপাতালের পুরাতন ভবনে একাধিক ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সকালে সেখানেও বেশ কিছু সময় বিদ্যুৎ ছিল না।

হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানা তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে হাসপাতালের পঙ্গু হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, বিদ্যুতের মিটার পুড়ে যাওয়ার কারণে কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। আমাদের এখানে দুটি সার্কিট আছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিলে একটি সার্কিট বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রশাসনিক ভবনের সার্কিট চালু রেখে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখা হয়। পাশাপাশি নিজস্ব জেনারেটর দিয়েও কাজকর্ম চলে। পরে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে লাইন ঠিক করে গেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম