এলডিসি উত্তরণের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১১ পিএম
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এ সময় বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে পাশে থেকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে স্বাক্ষাৎ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় প্রত্যেকের কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে স্বাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এলেক্সজেন্ডার বার্গ ভন লিন্ড এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পেটো রেনগীল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর বাংলাদেশের জন্য ডিউটি ফ্রি-কোটা সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন-ডব্লিউটিও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে বাংলাদেশ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে টিপু মুনশি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। সরকার বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বিভিন্ন সেবা ও পরিষেবা অনুমোদনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সরকারপ্রধানদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রীকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত দেশে বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্বারোপ করছে। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কৃষি খাতসহ অন্যান্য সেক্টরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।