‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কেন এটা বললেন, নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে’
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
![‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কেন এটা বললেন, নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে’](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/09/27/image-722868-1695833179.jpg)
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করে বা সীমিত করে দেয়, এ রকম কোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নেবে না বলে প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে আগামীতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আগেও বলেছি, ভিসানীতি নিয়ে মানুষ যেন ভুল না বোঝে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে।বিশেষ করে, আমরা গণমাধ্যম সম্পৃক্ততার একটা কথা শুনেছি। যেটা মনে হয় না খুব একটা রাইট চয়েস। সেখানে নিশ্চয়ই আপনাদেরও (গণমাধ্যমকর্মীদের) একটা বক্তব্য আছে। সে দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) রাষ্ট্রদূত কেন এটা বললেন, এটা নিশ্চয়ই সেই দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) খতিয়ে দেখবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আশা করব, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করে বা সীমিত করে দেয়, এরকম কোনো পদক্ষেপ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নেবে না।
এ বছরের মে মাসের শেষে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দেশটির ভিসা দেওয়া হবে না। ওই ঘোষণার প্রায় চার মাসের মাথায় ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, তার দেশ ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন এর আওতায়।
এর মধ্যেই ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ভিসানীতি ঘোষণায় যা বলা হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের তো চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। রাজনীতি যারা করেন, তারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করেন, সুতরাং এটা তাদের জন্য কোনো বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় তাদের জন্য যারা বিদেশে গিয়ে আবাস খোঁজেন এবং সুনির্দিষ্টভাবে ওই দেশে যদি কারও কোনো পরিকল্পনা থাকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিসা পলিসি তাদের ইন্টারনাল প্রসেস। আমরা এটাকে গ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা আবারও বলব, এটা যেন আরবিট্রেশন না হয়। আশা করি, আমরা জানতে পারব যখন সেই ইন্ডিভিজুয়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আমরা সেই বিষয়গুলো গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করব কাদের জন্য এ নীতিটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এবং সেখানে যদি কোনো ব্যত্যয় দেখি, অবশ্যই আমরা মার্কিন দূতাবাস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে জানাব।
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে কী পরিমাণ বাংলাদেশি মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন, সেই ডেটাতে বলে কোভিড সময়ের যে নিষেধাজ্ঞা সেই সময় কমে এলেও অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এ বছরের আগস্টের শেষ দিন পর্যন্ত বেশি বাংলাদেশি মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন।