বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরুণদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ।  প্রধানমন্ত্রী আগামীর তরুণদের জন্য সমান সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবে আজকের তরুণরাই। 

বৃহস্পতিবার সিআরআই ও ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘এনার্জি অ্যান্ড ফাইনান্স’ শীর্ষক ‘লেটস টক’-এর প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী তরুণরা প্রতিমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ তরুণদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। 

প্রতিমন্ত্রী তার আলোচনায় বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রিড নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, অফশোর ও অনশোর বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রভৃতি খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হবে সামনের দিনগুলোতে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল খাতেও বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনী চিন্তা তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে আগামীতে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বৎসরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

জ্বালানি সাশ্রয়ে তরুণদেরকে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু সচেতনতা দিয়েই হবে না। তরুণদেরকে একাজে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির আবিষ্কারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সব সময় স্বাগত জানায়। কারও এমন কোনো প্রকল্প থাকলে মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ এনার্জি গবেষণা কাউন্সিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিআরসি গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রকল্পে এককালীন অনুদান দিয়ে থাকে। 

নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি খাতে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা বিচ্ছুরণ খুব শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে।   

সাহস মোস্তাফিজের সঞ্চালনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ ও গ্রিন ভয়েজের ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর ইশরাত জাহান।