বিদ্যুৎ খাতে আগামী ১৫ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আগামী ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
শনিবার তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন এনার্জি পলিসি শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফসিল ফুয়েল হতে ক্লিন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে প্রয়োজন সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহাররীতি একেক দেশে একেক রকম। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রচুর জমি লাগে, যা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারে সোলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দুরূহ। প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ ও গবেষণার দ্বারা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সরকার নানাবিধ নীতি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমন্বিত মহাপরিকল্পনা, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, সোলার এনার্জি রোডম্যাপ, সোলার ইরিগেশনের রোডম্যাপ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি পলিসির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার স্ট্রিট লাইট, সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার সিস্টেম, সোলার মিনি গ্রিড, বায়োমাস প্ল্যান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ ইত্যাদিতে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন লোককে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। যা ওই এলাকার লোকদের জীবনযাত্রার মান ও কমিউনিটির ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখছে। পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। যার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চলে গেছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ও অন্যদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে সরকার।
২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার। সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট টিম লিডার ইদয়ুইন কুককুক। গ্রামীণফোনের সিসিএও হেনস মার্টিন। সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) ডিরেক্টর শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। সেশনটি মডারেট করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।