রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফসহ ৮ প্রস্তাব অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২১ পিএম
বাগেরহাটের রামপালে ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ বছর মেয়াদে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ টাকা হিসাবে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ওই বৈঠকে টিসিবির জন্য ছয় হাজার মেট্রিক টন ডাল, ৪০ লাখ লিটার তেল ও সোয়া লাখ মেট্রিক টন সারসহ আট প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রকল্পটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এসিডব্লিউএ পাওয়ার কোম্পানি, সৌদি আরব; কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড বাংলাদেশ; ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেড বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকে চলতি (২০২৩-২০২৪) অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এ পণ্য সরবরাহ করবে নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড। প্রতি কেজি ৯৫ টাকা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৫৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড ২ লিটার পেটজাত বোতলে এই তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ১৬১.৫০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
বৈঠকে পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সার আমদানির জন্য। এর মধ্যে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট রয়েছে। এ সার সরবরাহ করবে মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা এতে ব্যয় হবে প্রায় ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৮ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ৩৫৯ মার্কিন ডলার পড়বে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি করা হবে। সার সরবরাহ করবে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন ঢাকা। এতে ব্যয় হবে ৫৯ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম পড়বে ৫৪০ মার্কিন ডলার।
এদিকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি মেট্রিক টন ৩৯৭.৩৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে এক কোটি ২০ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩১ কোটি টাকা।