ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলাচিঠির জবাব দিলেন আরাফাত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৫১ পিএম
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলাচিঠি দিয়েছেন ১৬০ বিশ্বনেতা। সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।
বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ‘অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানিয়ে বৈশ্বিক নেতাদের চিঠির দ্রুত প্রতিক্রিয়া:’ শিরোনামে এক বার্তায় ওই খোলাচিঠির জবাব দেন তিনি।
একই সঙ্গে ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়ে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে টুইটবার্তা দিয়েছেন, সেটিও যুক্ত করেন আরাফাত।
খোলাচিঠির জবাবে আরাফাত লেখেন, শ্রম আদালতে বিচারাধীন বর্তমান বিচারিক মামলার অভিযোগকারীরা গ্রামীণ টেলিকমের কর্মী। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। শ্রমিকরাই মামলা নিয়ে এসেছে এবং এই মামলা নিয়ে তারা কি করতে চায় তা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের। দ্বিতীয় শ্রম মামলাটি- শ্রম আইন লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের জন্য শ্রম বিভাগ থেকে করা হয়। প্রফেসর ইউনূসের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো সঠিক নয় এমন কোনো প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি। যা দাবি করা হয়েছে তা হলো ‘ব্যতিক্রমবাদ’। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
আরাফাত লেখেন, বাংলাদেশের আইনে বিচারকদের একটি প্যানেল গঠন করে তা পরিবর্তন পর্যালোচনা করার ক্ষমতা কোনো কর্তৃপক্ষের নেই। শ্রম আদালতের সভাপতিত্ব করেন একজন একক বিচারক। প্রফেসর ইউনূস শ্রম আদালতের বিচারকদের একটি প্যানেলের সামনে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার সুযোগ পাবেন। তারপরে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের শরণাপন্ন হবেন।
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিষয়ে হিলারি ক্লিনটনকে যে অনুরোধ করলেন দুদকের আইনজীবী
এতে তিনি আরও লেখেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, আইন অনুমোদিত সংস্থার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সরকারকে অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচারকদের একটি প্যানেল গঠন করার অনুমতি দেওয়ার কোনো আইন নেই। যেকোনো কর্তৃপক্ষের যেকোনো অভিযোগ পর্যালোচনার জন্য মূলত আইন লঙ্ঘন অভিযোগের তদন্তের প্রয়োজন হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঠিক সেটাই করছে।