চাইনিজ ইকোনমিক জোনের অবকাঠামো নির্মাণ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম
ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৮৪ একর জমির ওপর চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে ‘চাইনিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ হবে। এজন্য অবকাঠামো নির্মাণ ও উপযোগ সেবার সংস্থান সম্পর্কিত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিন উল আহসান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমিতে চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে ‘চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ প্রতিষ্ঠায় বহিস্থ অবকাঠামো নির্মাণ এবং উপযোগ সেবার সংস্থান সম্পর্কিত কাজ চীন সরকার মনোনীত ডেভেলপার চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের (সিআরবিসি) কাছ থেকে সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বদলে যাবে চট্টগ্রাম
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন (সিইআইজেড) প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর দুই বছর পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরে এলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবকাঠামো উন্নয়নে কাজের জন্য চীন সরকার চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে মনোনীত করে।
দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০২২ সালের ১১ আগস্ট চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপনে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে বেজা। এই চুক্তির আগেই চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
বেজার তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরে আনোয়ারা উপজেলার বেলচূড়া এলাকায় চীনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাসায়নিক, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, প্লাস্টিক পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্নেস ও সিমেন্ট কারখানা হতে পারে। সেখানে স্থাপিত হবে ৩৭১টি শিল্পকারখানা।
এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষভাবে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং পরোক্ষভাবে তিন লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।