নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে এক পর্যালোচনা সভায় এই তথ্য জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আগের সভার জরুরি কার্যবিবরণী ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তাদের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে তদন্ত পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়, যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সঠিকভাবে তদারকি হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য সুপারিশমালা পেশ করা হয়।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল নিয়োগ করার সুপারিশ এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফা কামাল, বিজিডি ই-গভ সার্ট’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জুলাই দুটি কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আরেকটা ছিল ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে কমিটি।