প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরের সময় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২, ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিংক, আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২, এবং ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিঙ্ক ভারতীয় এলওসির (লাইন অব ক্রেডিট) অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় অনুদানে নির্মিত হয়েছে আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক।
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত তাদের গ্রিডের মাধ্যমে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেবে।
বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি খুবই ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারত বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জন্য আওয়াজ তুলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।