রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে সরকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সেখানে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি একজন সঙ্গীকে নিয়ে এসেছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সহিংসতা বাড়ছে, সে বিষয়েই মূলত তারা কথা বলেছেন। তিনি (গোয়েন লুইস) আরও বলেন- সেখানে আমাদের আর্মি এবং বর্ডার গার্ড সবাই রয়েছে, সহিংসতা কেন হচ্ছে? তিনি আর্মির এসওপির কথা বলেছেন, সেটা আমরা ফলো করছি কিনা? সবগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা এটাই বলেছি যে ছোট একটি জায়গায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ এখানে, নানান ধরনের সমস্যা তো এখানে থাকবেই; সেসব সমস্যা থেকে তৈরি হবে সহিংসতার। এই সহিংসতায় শুধু তারাই মারা যাচ্ছে না। আমাদের সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ অফিসারও মারা গেছেন, এয়ারফোর্সের একজন দক্ষ অফিসার মারা গেছেন। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রয়েছি, আমাদের সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি- যাতে করে কিলিং বন্ধ হয়। এটাই আমরা তাকে (গোয়েন লুইস) জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আর্মি আমাদের স্ট্যান্ডবাই থাকে সবসময়, যদি প্রয়োজন হয় আমরা আর্মিকেও ব্যবহার করব। সেই এসওপি আমরা তৈরি করেছি। সেই এসওপি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে আমরা ব্যবহার করব, সেটি আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে বর্বর দমন-পীড়নের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায়। সেখানে তাদের জন্য ক্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে ধারাবাহিকভাবে সংঘাত চলছে। গত সাড়ে পাঁচ বছরে সেখানে ১৩২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে সম্প্রতি সংসদীয় একটি কমিটির বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার টেকনাফ ও উখিয়ার স্থানীয় মানুষদের যে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তা নিয়েও জাতিসংঘ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি, যত আর্লি পসিবল (দ্রুত সম্ভব) তারা (রোহিঙ্গা) তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে। আমরা যেটি মনে করি, আপনারাও (জাতিসংঘ) সেই কাজটি করবেন।’