Logo
Logo
×

অন্যান্য

শাহজাদী-মুনার জামিন হওয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

শাহজাদী-মুনার জামিন হওয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক এবং মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দুই চিকিৎসকের জামিন হওয়ায় প্রাইভেট চেম্বার ও অস্ত্রোপচার কাজ ফের শুরু হবে। দুই চিকিৎসকের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে গত দুদিন ধরে চলা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স রুমে ফেডারেশন অব অল সোসাইটি বাংলাদেশের যৌথসভা শেষে একথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আটক দুই চিকিৎসকের জামিন হয়েছে। জামিন হওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের কর্মসূচি আপাতত উইথড্র করে নিচ্ছি। আজ (মঙ্গলবার) এখন (বিকাল) থেকেই সবাই কাজে ফিরে যাবেন। চিকিৎসকরা চেম্বার করবেন, রোগী দেখবেন। সব ধরনের অস্ত্রোপচারসহ বাকি সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুমে এই বৈঠকে ফেডারেশন অব মেডিকেল স্পেসালিস্টস সোসাইটি অব বাংলাদেশসহ চিকিৎসকদের অন্তত ৪০টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের জন্য ৯ জুন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসেন কুমিলল্লার গৃহবধূ মাহবুবা রহমান আঁখি। তিনি সংযুক্তা সাহার অধীনে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের জন্য এসেছিলেন। সংযুক্তা সাহা বিদেশে থাকায় সহযোগী চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেদিন আঁখির সন্তান প্রসব করান। পরদিন নবজাতকটি মারা যায়। ১৮ জুন মারা যান আঁখিও।

সংযুক্তা সাহাসহ কয়েকজন চিকিৎসক এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ফৌজদারি মামলা করেন আঁখির স্বামী মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোগী ও তার পরিবারকে সার্জারির আগে বলা হয়েছিল যে সংযুক্তা সাহা আঁখির অপারেশন করবেন। তবে হাসপাতালে তাকে ওই চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি করা হলেও ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না। অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তখন অস্ত্রোপচার করে বাচ্চা বের করা হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। পরে ১৮ জুন মারা যান মা আঁখিও।

এ মামলায় ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেফতারের পর গত ১৫ জুন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে পৃথক ২ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। এরপর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম