দেশে মাদক পরিস্থিতি খুবই নাজুক: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ১০:৪২ পিএম

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ‘যুদ্ধ’ ঘোষণাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি বরং বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।
দেশে মাদক পরিস্থিতি খুবই নাজুক মন্তব্য করে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
একই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করা হয়।
সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে এসব কথা জানান মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য হিসেবে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, ‘মাদকের ক্ষেত্রে (নিয়ন্ত্রণে) আমাদের ব্যর্থতা থাকলেও জঙ্গিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এককালে দেশে জঙ্গিবাদের যেমন উত্থান হয়েছিল, সেটি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এটি ইতিবাচক বিষয়। আমরা উদ্বিগ্ন যে মাদকসেবীদের সংখ্যা আশানুরূপ কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এ জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে সমাবেশ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’
মাদক নির্মূলের জন্য গণমাধ্যম যেন সচেতনতামূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই প্রত্যাশার কথা জানান মন্ত্রী। এ ছাড়া ডোপ পরীক্ষার ফলের মেয়াদ তিন দিন থাকাটাও সমস্যার বলে মনে করেন মোজাম্মেল।
ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা শরণার্থী। তারা মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শরণার্থী হওয়ায় তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার বা মামলা করা সম্ভব হচ্ছে না।’