বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ সংসদ নির্বাচনের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ বিষয়ে গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক সংসদের আজীবন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ সদস্য, জামুকার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের স্মার্ট প্যালেনের নেতারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক সচিব কেএম মোজ্জামেল হক, মহাসচিব (প্রশাসন) প্রার্থী সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতীক, প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভুঁইয়া, আবদুল করিম সরকার, তাজুল ইসলাম, শাজাহান মৃধা বেনু, শাহাবুদ্দিন, নুরুল ইসলাম মোল্লা, মোশারফ হোসেন, কফিল উদ্দিন মোল্লা, কবির আহমেদ, মো. শাজাহান, ফরিদুল ইসলাম, শাজাহান সর্দার, মোয়াজ উদ্দিন, আমান উল্লাহ, ড. শহীদুল ইসলাম, মাহফুজুল ইসলাম, আহমেদ উল্ল্যা রতন, এবি সিদ্দিক মোল্লা, আবুল কাসেম, জামাল খা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রচার করা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হলে সমস্যা হবে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বানোয়াট সাজানো কল্পকাহিনী তৈরি করে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের আলাদা কোনো প্যানেল বা প্রার্থী ছিল না। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী দিলে বা তার প্যানেল থাকলে নির্বাচনেরই প্রয়োজন ছিল না। মূলত বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত এ সংসদের নির্বাচনে যারা মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তারা আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, নৌকার পক্ষে আছেন। অন্য আদর্শের কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তারা বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে যা হয়েছে, আপনিই করেছেন। আমরা আপনার এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। আপনি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে দেখেন কারা এসব মিথ্যা, বানোয়াট কথা বলে নির্বাচন স্থগিত করল? কারা আপনার ও আপনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, শেষ বয়সে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে কষ্ট দিয়েছে?
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মাঠে ময়দানে কাজ করতে সুযোগ দিন।