তপ্ত রোদে চৌকি পেতে বেচাবিক্রির চেষ্টা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২০ পিএম

গত চার দিন ধরে চৌকি পেতে ব্যবসায় ফেরার চেষ্টা করছেন বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। বৈশাখের তপ্ত রোদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে মাথার ওপর যে ছাতা তারা টাঙিয়েছেন, দুর্ভাগ্যের কবলে পড়া এই মানুষগুলোকে তা সুরক্ষা দিতে পারছে সামান্যই। তবুও চলছে আগুনে সব হারানো ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।
আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের শুরু। তবে পণ্যের মজুত নেই। নেই কোনো পাইকারও। নেই তেমন খুচরা ক্রেতাও। তবুও ছোট ছোট চৌকি পেতে দিনভর বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। মাঝে মধ্যে কয়েকজন খুচরা ক্রেতাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও কাউকে কেনাকাটা করতে দেখা যায়নি।
মিজানুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আগে আমরা পাইকারি বেচতাম। এখন খুচরা বিক্রি করে চেষ্টা করছি ঘুরে দাঁড়াতে। আমাদেরতো এখন আর কিছু নেই। তিনি বলেন, এখন পজিশন দখল নিয়ে বসেছি। ভবন হলে যাতে পজিশনটা অন্তত পাই।
বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে কমপক্ষে অস্থায়ী কোনো ছাউনি পেলেও ক্ষতি কিছুটা কাটানো যেত। তবে এটিও মানছেন, অস্থায়ী ছাউনির নির্মাণের সময়ও নেই।
চার এপ্রিল ভোরে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারে বালুর ওপর দোকান চালু করতে পেরেছেন। গত দুই দিনে বিক্রিও কিছুটা বেড়েছে। তবে পাইকারি ক্রেতারা না আসায় খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে পাইকারদের চাহিদা পূরণের যেমন পুঁজিও নেই, তেমনি পাইকারও নেই। তবুও চৌকি পেতে বসে অপেক্ষা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে এখনো চালু হয়নি ইসলামীয়া, এনেক্সকোসহ তিনটি মার্কেট। সেখানেও চলছে দোকান বসানোর প্রস্তুতি। মার্কেট এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালুরও উদ্যোগ চলছে। মার্কেট কমিটি কিছু ব্যবসায়ীর তালিকা করে চৌকি বসানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বুধবার প্রায় সাতশজনকে দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হলে চৈত্রের খরতাপের মধ্যেই দোকান শুরু করেন তারা।