দাওয়াতে গেলেই জড়িত বলা যায়, প্রশ্ন আইজিপির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। পুলিশ খুনের মামলার এ আসামির একটা সময় এফডিসিতে যাতায়াত ছিল। তখনই তার সেলিব্রেটিদের সঙ্গে যোগাযোগটা গড়ে উঠে। পূর্বের যোগাযোগ ও নগদ টাকার জোরে নায়ক-নায়িকাদের সহজেই কাছে পান আরাভ খান। যেটির প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার সোনার দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
গত ১৫ মার্চ আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যান জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নায়িকা দীঘি এবং ইউটিউবের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এরপরই আরাভ খানের বিষয়টি তুমুল আলোচনায় আসে। জানা যায়, আরাভ খান ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। পুলিশ মামলার আসামি হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানে বস্তিতে থেকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই চলে যান।
এই শোরগোলের মধ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাকিব আল হাসান এবং হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এ রকম ‘নেতিবাচক চরিত্রের’ একজনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের আলোচিত কয়েকজন যাওয়ায় সমালোচনা শুরু হওয়ার বিষয়টি আজ (সোমবার) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে আইজিপি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় বিজ্ঞাপনে যায়। দাওয়াতে গেলেই যে জড়িত থাকবে বলে, সেটা বলা যায়? বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’