২০২৬ সালে চালু হবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১১ পিএম
২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রোববার জাতীয় সংসদে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ড্রইং ডিজাইন করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ৩৫০ মিটার প্রশস্ত এবং ১৬ মিটার গভীরতাসম্পন্ন করে ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ চ্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তরপাশে ২১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং দক্ষিণপাশে ৬৭০ মিটার ঢেউ নিরোধক বাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার কনটেইনার জেটি এবং ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কনটেইনার ইয়ার্ডসহ সব বন্দর সুবিধা নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে জুলাই নাগাদ জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলছে : নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী আরও দুই হাজার টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া প্রচলিত দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য চারটি উইঞ্চ বার্জসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।