বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, বাংলা একাডেমির একটি নীতিমালা আছে। সে অনুযায়ী যারা স্টল পাওয়ার তারা পাবে। মতপ্রকাশের অধিকার সবার আছে কিন্তু এর মানে এই না যে কেউ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব পতাকা নিয়ে কটাক্ষ করবে। এর বাইরে সবার মতপ্রকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ আছে।
বাংলা একাডেমির বইমেলায় আদর্শ নামের একটি প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেশনে জেলা প্রশাসকরা মোটামুটি সাতটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। যার পাঁচটিই ছিল সংস্কৃতি নিয়ে। তবে এসব বিষয়ের মধ্যে একটি ছাড়া সব ব্যাপারেই আমরা প্রক্রিয়া শেষ করেছি। বাকি কাজ যেগুলো আছে, তার সবই প্রক্রিয়াধীন।
‘বিশেষ করে আমাদের প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। শিল্প-সাহিত্য-সংকৃতি-প্রত্নতত্ত্ব-কপিরাইট-বাংলা একাডেমি সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সেগুলো আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে চলমান আছে। তারা খুশি আছে, আমি একটু অখুশি। কারণ সব কাজ শেষ করতে পারছি না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলো আছে, তাদের আমরা উদ্বুদ্ধ করি এবং প্রায় ১৪০০ সংগঠনকে বাৎসরিক অনুদান দিই। আবেদনের ভিত্তিতে আমরা এসব দিচ্ছি যেন আমাদের জেলা শিল্পকলা একাডেমি সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলের যে ভাসানী হল আছে, সেটির ডিপিপি প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আশা করছি তা হয়ে যাবে। বিভিন্ন প্রকল্প আছে আমাদের, প্রত্যেক উপজেলায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। যেখানে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে, লাইব্রেরি থাকবে। আমরা ১১০টি উপজেলাকে টার্গেট করে যাচ্ছি, ৩৫টি উপজেলার ডিপিপি প্রায় চূড়ান্ত।’
এর বাইরে আমরা ৪৯২টি উপজেলাতেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে চাইছি। যেন সব জায়গায় সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ে- যোগ করেন খালিদ।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন জঙ্গিবাদ রুখে দিতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোনো বিকল্প নেই। একসময় আমাদের জারি-সারি-বাউল-যাত্রা সবই চলত। সেই জায়গাটিতেই আমরা ফিরে যেতে চাই, যেন সংস্কৃতি দিয়ে আমরা জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে পারি।
‘আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি দিয়েছি। কোথাও কোনো কালচারাল আয়োজন করতে কোনো পূর্বানুমতির দরকার নেই। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেই জায়গাতে যেন সংস্কৃতির মাঝে অপসংস্কৃতি না ঢুকে।’