মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বেড়েছে ভোগান্তি: সংসদে সালমা ইসলাম
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১৮ পিএম
মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বেড়েছে ভোগান্তি- এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।
তিনি বলেছেন, আমদানি বাড়ায় এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে। এতে ডলারের দাম বেড়ে যায়। ২০২২ সালে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৫ শতাংশ। টাকার অবমূল্যায়ন ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। এ হার গত আগস্টে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। গত নভেম্বরে তা কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বেড়েছে ভোগান্তি। বৈশ্বিক এ মন্দার প্রভাব সফলভাবে মোকাবিলা করেছে সরকার। তবে গেল বছর ব্যাংক খাতে বরাবরের মতোই ছিল নেতিবাচক পরিস্থিতি। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ হচ্ছে এই খাতের ‘বিষফোঁড়া’। এই ফোঁড়া কাটার কেউ নেই।
সালমা ইসলাম প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে আমার প্রশ্ন ঋণখেলাপিরা কি সরকারের চেয়ে ক্ষমতাশালী? তা না হলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার পরও কেন খেলাপিরা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। খেলাপি ঋণ উদ্ধারে নেওয়া নানা পদক্ষেপের পরেও আসছে না কোনো কার্যকর ফল। উলটো খেলাপিরা অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে জীবন-যাপন করেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দেন তারা। অথচ এদের কারণেই দিন দিন বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। প্রকৃত হিসাবে খেলাপি ঋণ আরও বেশি। ব্যাংকগুলোর আয় কমেছে। ব্যয় বেড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনাও ফাঁস হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরেও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী চাপ আসছে। রিজার্ভ সংকট প্রকট হতে পারে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমে যেতে পারে। পণ্যমূল্য বাড়তে পারে। এতে মূল্যস্ফীতির হারও উসকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রথমত টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে। টাকা পাচারকারীদের ‘অর্থনীতির বড় শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী যে আইনি কাঠামো আছে তাতে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা কঠিন। তারপরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। যাদের টাকা পাচারের দায়ে শনাক্ত করা হয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তাহলে নতুন করে টাকা পাচার কমবে। পাশাপাশি রেমিট্যান্সে হুন্ডি বন্ধ করে বৈধপথে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার খুঁজতে হবে। তাহলে ডলার সংকট মোকাবিলা করা সহজ হবে।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, জাতীয় জীবনে অর্থনৈতিকভাবে গত বছর আমরা একটি কঠিন সময় পার করে এসেছি। চলতি বছর আরও কঠিন সময়ের মখোমুখি হতে হবে বলে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে। বিশ্ব অর্থনীতির তিন ভাগের এক ভাগ ভয়াবহ মন্দায় আক্রান্ত হবে। বাংলাদেশও এই মন্দায় কমবেশি আক্রান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করে দেশ যখন সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ মন্দায় রূপ নেয়। এর ঢেউ এসে লাগে বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেকাররা। গত তিন বছর ধরে নতুন কর্মসংস্থানের গতি মন্থর। ফলে অনেকে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছেন না। প্রাতিষ্ঠানিক মোট কর্মসংস্থানের ৯৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে। মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি খাতে হয়ে থাকে। মন্দায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বেসরকারি খাত। এ খাতে বিনিয়োগ কমে গেছে। উদ্যোক্তারা এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত। নতুন বছরে মন্দার ছোবল বাড়ায় বেসরকারি খাতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উদ্যোক্তারা যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে নতুন বিনিয়োগ করতে পারেন সেজন্য সরকারের নীতি-সহায়তার আওতা আরও বাড়ানো দরকার। এতে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান হবে। বেকাররা চাকরি পাবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়বে। এ প্রক্রিয়ায় অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির এই কো-চেয়ারম্যান বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল চালুর ফলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি। পদ্মা সেতুর প্রভাব ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। তবে মেট্রোরেলের প্রভাব পড়তে আরও অপেক্ষা করতে হবে। মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহণের যুগে প্রবেশ করল। বাংলাদেশও যে পারে, তা প্রমাণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক সাহায্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু এই মুহূর্তে রোহিঙ্গারা আমাদের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ দীর্ঘ সময় চলে গেলেও তাদের নিজভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তারা কবে যাবেন কেউ বলতে পারেন না। মিয়ানমার সরকার নানা অজুহাতে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছে। এই কাঁটা উঠাতে পারে একমাত্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তারা মিয়ানমারের ওপর জোরালো চাপ সৃষ্টি করতে পারলেই আমার ধারণা একটা ইতিবাচক ফল আসতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা খুবই জরুরি।
খাদ্যে ভেজাল দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও ভেজাল খাদ্য সরবরাহকারীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তেমন একটা দেখা যায় না। এরা সমাজের শত্রু। অ্যাসিড নিক্ষেপ আইনের মতো কঠিন আইন প্রণয়ন করে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সামনেই পবিত্র মাহে রমজান মাস। এ মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে। সে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রশংসা করে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন সাদা মনের মানুষ এবং সজ্জন ব্যক্তি। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও অনেক বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। দেশ ও জাতি গঠনে অভিভাবকসূলভ বক্তব্য দিয়ে থাকেন। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদে ভাষণেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের অবতারণা করেছিলেন। ওই ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ পেতে পারে না।’ এছাড়া তিনি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশা ও নির্বিশেষে সবার ঐকমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি অধিবেশনেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে জাতীয় সংসদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘স্বাধীন, সার্বভৌম এদেশে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সব প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু মহান জাতীয় সংসদ।’
তিনি বলেন, আমি মনে করি, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যে যেসব দিকনির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো যদি আমরা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আর বিভেদ-বৈরিতা থাকবে না। গণতন্ত্র সত্যিই সুসংহত হবে। এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; যা বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করেছেন। আমার বক্তব্য হচ্ছে- যেহেতু জনগণই ক্ষমতার উৎস। তাই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে। তাহলেই আমরা একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ থেকে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। একই সঙ্গে জেনেছি, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা। আর এসব কারণেই অনেক দেশের তুলনায় এখনো ভালো আছে বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র। এজন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
আলোচনার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ লাখ শহিদদের প্রতি। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি লাল-সবুজের রং-তুলিতে আঁকা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মানচিত্র। আর কয়েক দিন পর শুরু হতে যাচ্ছে ভাষার মাস। ভাষা শহিদদের প্রতিও রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঙ্গনের অনেক কৃতীসন্তানকে চিরদিনের জন্য হারিয়েছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তার হাত ধরে জাতীয় পার্টি আজ সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা অর্জন করেছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদের নানা দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করাসহ দলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের। আমি তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ। আরও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, সংসদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা ও আমাদের দলের চিফ প্যাট্রন বেগম রওশন এরশাদের প্রতি। তিনি মাতৃস্নেহে আমাকে সবসময়ই বুকে আগলে রাখেন। তিনি ভালোবাসা দিয়ে আমাকে রাজনীতিসহ সব ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করেন। আমাদের এই নেতা দীর্ঘদিন বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ, এই প্রত্যাশা আমার।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টি বেগম রওশন এরশাদের নির্দেশনায় এবং জিএম কাদেরের নেতৃত্বে গঠনমূলক রাজনীতি করে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি যদি জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, হরতাল, ভাঙচুর ও সংসদ বর্জনের রাজনীতি করতো তাহলে আজকের এই গণতন্ত্র সুসংহত থাকতো কিনা সন্দেহ। দেশের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যে স্বপ্ন দেখেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ— সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহস ও বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে দেশের উন্নয়নের চাকা আজ গতিশীল। আজকের এ চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং সুন্দর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পার্টির ভূমিকা অপরিসীম।